-
Notifications
You must be signed in to change notification settings - Fork 0
/
Copy pathindex.html
25 lines (21 loc) · 10.1 KB
/
index.html
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
<link rel="stylesheet" type="text/css" href="style.css">
<!-- Hide the scrollbar while keeping the content scrollable -->
<h2 align="center">Live Preview</h2>
<h1 align="center">Hide the scrollbar while keeping the content scrollable</h1>
<hr>
<h2 align="center">Example Text</h2>
<h1 align="center">Poem Manush by Kazi Nazrul Islam</h1>
<br><br>
<h1 align="center">মানুষ</h1>
<div align="center">- কাজী নজরুল ইসলাম</div>
<div align="center"><br /> গাহি সাম্যের গান- <br />মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, <br />নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, <br />সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি। <br /> 'পূজারী, দুয়ার খোলো, <br />ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হ'ল!' <br />স্বপন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয় <br />দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ'য়ে যাবে নিশ্চয়! <br />জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ <br />ডাকিল পান্থ, 'দ্বার খোল বাবা, খাইনি ক' সাত দিন!' <br />সহসা বন্ধ হ'ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে, <br />তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে! <br /> ভুখারি ফুকারি' কয়, <br />'ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!' <br />মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত-রুটি <br />বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি! <br />এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন্ <br />বলে 'বাবা, আমি ভুকা-ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!' <br />তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা - 'ভ্যালা হ'ল দেখি লেঠা, <br />ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?' <br />ভুখারী কহিল, 'না বাবা!' মোল্লা হাঁকিল - 'তা হলে শালা <br />সোজা পথ দেখ!' গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা! <br /> ভুখারি ফিরিয়া চলে, <br /> চলিতে চলিতে বলে- <br />'আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু, <br />আমার ক্ষুধার অন্ন তা'বলে বন্ধ করনি প্রভু <br />তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবি, <br />মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি!' <br />কোথা চেঙ্গিস্‌, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড়? <br />ভেঙে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার! <br />খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা? <br />সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা! <br /> হায় রে ভজনালয়, <br />তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়! <br /> মানুষেরে ঘৃণা করি' <br />ও' কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি' মরি' <br />ও' মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর ক'রে কেড়ে, <br />যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে, <br />পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! মূর্খরা সব শোনো, <br />মানুষ এনেছে গ্রন্থ;-গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো। <br />আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ <br />কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর,-বিশ্বের সম্পদ, <br />আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে <br />তাঁদেরি রক্ত কম-বেশি ক'রে প্রতি ধমনীতে রাজে! <br />আমরা তাঁদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ, <br />কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ। <br />হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম, <br />আমিই কি জানি-কে জানে কে আছে আমাতে মহামহিম। <br />হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদী ঈসা, <br />কে জানে কাহার অন্ত ও আদি, কে পায় কাহার দিশা? <br />কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি? <br />হয়ত উহারই বুকে ভগবান্‌ জাগিছেন দিবা-রাতি! <br />অথবা হয়ত কিছুই নহে সে, মহান্‌ উচ্চ নহে, <br />আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ-দহে, <br />তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজনালয় <br />ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়! <br />হয়ত ইহারি ঔরসে ভাই ইহারই কুটীর-বাসে <br />জন্মিছে কেহ- জোড়া নাই যার জগতের ইতিহাসে! <br />যে বাণী আজিও শোনেনি জগৎ, যে মহাশক্তিধরে <br />আজিও বিশ্ব দেখনি,-হয়ত আসিছে সে এরই ঘরে! <br /><br />ও কে? চন্ডাল? চম্‌কাও কেন? নহে ও ঘৃণ্য জীব! <br />ওই হ'তে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব। <br />আজ চন্ডাল, কাল হ'তে পারে মহাযোগী-সম্রাট, <br />তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী-পাঠ। <br />রাখাল বলিয়া কারে করো হেলা, ও-হেলা কাহারে বাজে! <br />হয়ত গোপনে ব্রজের গোপাল এসেছে রাখাল সাজে! <br /> চাষা ব'লে কর ঘৃণা! <br />দে'খো চাষা-রূপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কি না! <br />যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল, <br />তারাই আনিল অমর বাণী-যা আছে র'বে চিরকাল। <br />দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারী ও ভিখারিনী, <br />তারি মাঝে কবে এলো ভোলা-নাথ গিরিজায়া, তা কি চিনি! <br />তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা-মুষ্টি দিলে, <br />দ্বারী দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলে। <br /> সে মার রহিল জমা- <br />কে জানে তোমায় লাঞ্ছিতা দেবী করিয়াছে কিনা ক্ষমা! <br />বন্ধু, তোমার বুক-ভরা লোভ, দু'চোখে স্বার্থ-ঠুলি, <br />নতুবা দেখিতে, তোমারে সেবিতে দেবতা হ'য়েছে কুলি। <br />মানুষের বুকে যেটুকু দেবতা, বেদনা-মথিত সুধা, <br />তাই লুটে তুমি খাবে পশু? তুমি তা দিয়ে মিটাবে ক্ষুধা? <br />তোমার ক্ষুধার আহার তোমার মন্দোদরীই জানে <br />তোমার মৃত্যু-বাণ আছে তব প্রাসাদের কোন্‌খানে! <br /> তোমারি কামনা-রাণী <br />যুগে যুগে পশু, ফেলেছে তোমায় মৃত্যু-বিবরে টানি'।</div>
<br><br>
<hr>
<br><br>
<h3>Do you have more questions? like</h3>
<ul>
<li>When do we need overflow?</li>
<li>When should we use scroll:auto?</li>
</ul>
<p>Read this blog: <a href="https://www.devilhunter.net/2025/02/hide-scrollbar-while-keeping-content-scrollable.html" target="_blank" rel="noopener">How to hide the scrollbar while keeping the content scrollable?</a></p>
<br>